সুপ্রিয় বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন।আজকে আমরা আলোচনা করব হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) নিয়ে।
প্রথমেই যে প্রশ্নটা মনে আসে সেটা হল যে হিমোগ্লোবিন নামের পিছনের কারণ কী?বেশ তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কি এই হিমোগ্লোবিন কেনই বা তার এমন নাম!
Hemolglobin শব্দটা এসেছে ইংরেজি শব্দ Hematoglobulin থেকে যা থেকেই সংক্ষেপিত আকার হিসেবে Hemoglobin শব্দটা আমরা পাই উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে।স্প্যানিশ ভাষাতে একে বলা হয়ে থাকে Hemoglobina ।
Hemolglobin শব্দটা এসেছে ইংরেজি শব্দ Hematoglobulin থেকে যা থেকেই সংক্ষেপিত আকার হিসেবে Hemoglobin শব্দটা আমরা পাই উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে।স্প্যানিশ ভাষাতে একে বলা হয়ে থাকে Hemoglobina ।
হিমোগ্লোবিন হচ্ছে একটি মেটালোপ্রোটিন (Metalloprotein) অর্থাৎ এমন একটি প্রোটিন যেটি তার কো-ফ্যাক্টর(Cofactor) হিসেবে একটি ধাতুকে ব্যাবহার করে।এখানে কো-ফ্যাক্টর সম্পর্কে বলতে হলে আপাতত বলতে হচ্ছে একটি প্রোটিনের কাজের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে তার কো-ফ্যাক্টর।
আচ্ছা কাজের সহায়তা তো চট করে বলে ফেললাম কিন্তু সে কাজটাই তো জানা হল না!এবার চলে যাওয়া যাক আরেকটু গভীরে অর্থাৎ হিমোগ্লোবিনের কাজ-কারবার,সে দেখতে কেমন,তার চলাফেরা কিরকম ইত্যাদি ইত্যাদি।তবে ঘাবড়াবার কিচ্ছু নেই।আমরা ধীরে ধীরে তাকে জানার চেষ্টা করব।একবারে কোনো মানুষকেই কি বলুন জানা যায়?আর এ তো মানুষেরও ভিতরে থাকে।কি মহা মুসিবত!
ওক্কে এবার আসা যাক হিমোগ্লোবিনের কাজের ব্যপারে।আমাদের শরীর টিকিয়ে রাখার মূল শর্তই হল শারীরবৃত্তীয় যতসব কাজ আছে সেগুলো ঠিকঠাক হওয়া।এজন্য খুব করে দরকার হচ্ছেওঅক্সিজেন।আমরা যখন শ্বাস গ্রহণ করি আমরা মূলত অক্সিজেন টেনে নেই এবং সে অক্সিজেন ফুসফুস থেকে সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে যায় প্রয়োজনানুযায়ী।এই যে পৌঁছানোর মহা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেটাই করে আমাদের হিমোগ্লোবিন সাহেব অতি সাবধানতার সাথে এবং অবশ্যই একটা নিয়ম মেনে।অর্থাৎ আমাদের শরীরে ট্রান্সপোর্টার প্রোটিনের মাঝে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল মিস্টার হিমোগ্লোবিন। অর্থাৎ ব্যাপারটা হল এই যে হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে পুরো শরীরে অক্সিজেনকে বিলি করে দিচ্ছে আর শরীরের বিভিন্ন টিস্যুতে হরেক রকমের কাজের ফল হিসেবে যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হচ্ছে তা সে নিয়ে আসছে ফুসফুসে।বলতে পারেন এক নদীর দুইটি কূল যদি হয় টিস্যু আর ফুসফুস তাহলে হিমোগ্লোবিন হচ্ছে সেই নদীর খেয়া।
ওক্কে এবার আসা যাক হিমোগ্লোবিনের কাজের ব্যপারে।আমাদের শরীর টিকিয়ে রাখার মূল শর্তই হল শারীরবৃত্তীয় যতসব কাজ আছে সেগুলো ঠিকঠাক হওয়া।এজন্য খুব করে দরকার হচ্ছেওঅক্সিজেন।আমরা যখন শ্বাস গ্রহণ করি আমরা মূলত অক্সিজেন টেনে নেই এবং সে অক্সিজেন ফুসফুস থেকে সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে যায় প্রয়োজনানুযায়ী।এই যে পৌঁছানোর মহা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেটাই করে আমাদের হিমোগ্লোবিন সাহেব অতি সাবধানতার সাথে এবং অবশ্যই একটা নিয়ম মেনে।অর্থাৎ আমাদের শরীরে ট্রান্সপোর্টার প্রোটিনের মাঝে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল মিস্টার হিমোগ্লোবিন। অর্থাৎ ব্যাপারটা হল এই যে হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে পুরো শরীরে অক্সিজেনকে বিলি করে দিচ্ছে আর শরীরের বিভিন্ন টিস্যুতে হরেক রকমের কাজের ফল হিসেবে যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হচ্ছে তা সে নিয়ে আসছে ফুসফুসে।বলতে পারেন এক নদীর দুইটি কূল যদি হয় টিস্যু আর ফুসফুস তাহলে হিমোগ্লোবিন হচ্ছে সেই নদীর খেয়া।
এবার একটু প্রশ্ন এসেছে বোধহয় হিমগ্লোবিনের চেহারা সুরুত কেমন?মানে কি এমন গঠন তার যে সে এতটা নিষ্ঠার সাথে অক্সিজেন আর কার্বন-ডাই-অক্সাইড পারাপারের কাজটুকু করে যাচ্ছে?
ওয়েল,অবশ্যই তার গঠন এই পরিবহনের জন্য উপযুক্ত।লিখার শুরুর দিকে বলা হয়েছিল যে হিমোগ্লোবিন হচ্ছে একখানা মেটালোপ্রোটিন অর্থাৎ তার কাজ যাতে খানিকটা সহজ হয়,সে যাতে তার কাজটা যাতে সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য একটি ধাতু বা মেটাল দরকার।একেকটি মেটালোপ্রোটিনের জন্য দরকারি মেটাল একেক রকম এবং আমাদের মাননীয় হিমোগ্লোবিনের জন্য দরকারি মেটালটি হল লোহা বা আয়রন।এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হল আয়রন আসলে কিভাবে বা বলা ভাল কীরূপে হিমোগ্লোবিনের সাথে জড়িত।দুটি বিষয় এখানে বলতে হচ্ছে।
এক. আয়রন,হিমোগ্লোবিনের মাঝে আয়ন হিসেবে থাকে পরমাণু হিসেবে নয়।
দুই. হিমোগ্লোবিনের মাঝে একটা রিং থাকে যার নাম Porphyrin IV .এই পোরফাইরিন রিং এর মাঝেই একটি আয়রন আয়ন থাকে Fe2+ ।সার্বিকভাবে একটি আয়রন আয়নকে Fe(ii) একবারে কেন্দ্রে ধরে নিলে এর চারপাশে থাকছে পোরফাইরিন রিং,অ্যামিনো এসিড হিস্টিডিনের (Histidine),ইমিডাজল (Imidazole) গ্রুপের নাইট্রোজেন পরমাণু।এই হল মোটামুটিভাবে ভেতরকার কথা।ও আচ্ছা এসব কথা বলতে হল হিম (Heme) গ্রুপের পরিচয় জানতে।
এই পোরফাইরিন রিং এর মাঝে থাকে চারটা পাইরোল (Pyrrole) রিং যারা পরস্পরের সাথে মিথিন (Methine) ব্রিজের মাধ্যমে যুক্ত থাকে এবং সবশেষে তারা যুক্ত হয় কেন্দ্রে থাকা সেই আয়রন আয়নের সাথে।একদম কেন্দ্রে থাকা আয়রন পরমাণু যুক্ত থাকে চারটা নাইট্রোজেন পরমাণুর সাথে যারা একই সমতলে অবস্থিত।এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে এই নাইট্রোজেন পরমাণু কি উপকার করছে আয়রন আয়নের সাথে যুক্ত থেকে?প্রকৃতপক্ষে এই নাইট্রোজেন পরমাণুর মাধ্যমেই আয়রন আয়নটি গ্লোবিউলার প্রোটিনের সাথে যুক্ত থাকে।কিন্তু কথা হচ্ছে এই গ্লোবিউলার প্রোটিন (Globular
protein) বাবাজির উদয় হল কিভাবে?
একটা জিনিস মনে থাকা উচিৎ আমাদের যে আমরা এতক্ষ্ণ যা বকবক করলাম তা কিন্তু মূল প্রোটিন না।আমরা যে হিমোগ্লোবিন বারবার বলে যাচ্ছি সেটা আসলে এক ধরণের গ্লোবিউলার বা স্ফেরোপ্রোটিন (Spheroprotein )।এদের এহেন নামকরণের কারণ হল এরা দেখতে গোলকের মতন (Globe-like).
হিমোগ্লোবিন মূলত চারটি গ্লোবিউলার প্রোটিন সাব ইউনিটের (Subunit) সম্মিলিত রূপ।প্রতিটি সাব ইউনিটে থাকে প্রোটিন চেইন যা কি না দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত থাকে হিম গ্রুপের সাথে।
হিম গ্রুপকে কেন্দ্র করে একটা অষ্টতলক (octahedron) তৈরি হয় যার ষষ্ঠ অবস্থানে উভমুখীভাবে অক্সিজেন এসে যুক্ত হয় সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে।একটি অক্সিজেন পরমাণু এসে যুক্ত হয় আয়রন আয়নে এবং আরেকটি অক্সিজেন পরমাণু কৌণিকভাবে অবস্থান করে।
এখানে মনে রাখার মত একটি বিষয় হচ্ছে অক্সিজেন পরমাণুর যুক্ত হওয়াটা সাময়িক এবং উভমুখী।যে দুটো বিষয় একই সাথে ঘটে তা হল অক্সিজেনের সাময়িকভাবে সুপার অক্সাইডে রূপান্তর এবং আয়রন আয়নের জারণ (Fe2+ to Fe3+ ).
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে সবচেয়ে সাধারণ বা সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় যে হিমোগ্লোবিন তার বর্ণনাই আমরা মূলত এতক্ষণ জানলাম।একে বলা হয়ে থাকে টেট্রামার (Tetramer) যেহেতু চারটি সাব ইউনিট থাকে এবং এর নাম হচ্ছে হিমোগ্লোবিন এ (Hemoglobin A).
এর মাঝে থাকে দুটো করে আলফা(α) এবং বিটা (β) চেইন।তারা যথাক্রমে ১৪১ এবং ১৪৬ টি অ্যামিনো এসিডের সমন্বয়ে তৈরি।চেইন গুলোকে বলা হয় α1,α2 এবং β1, β2।
উফফ আজ আর না।অনেক কথা বলে ফেলেছি আমি বড্ড ক্লান্ত আপনারা হয়তো ভাবছেন এর বকবক কখন শেষ হবে?
কথা দিচ্ছি আজ আর না।আজ এ পর্যন্তই রইল।পরবর্তীতে কথা হবে নতুন কোনো বিষয়ে।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আর হ্যাঁ যে কোনো গঠনমূলক সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে সে নিশ্চয়তা থাকছেই।
টা টা।
কথা দিচ্ছি আজ আর না।আজ এ পর্যন্তই রইল।পরবর্তীতে কথা হবে নতুন কোনো বিষয়ে।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আর হ্যাঁ যে কোনো গঠনমূলক সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে সে নিশ্চয়তা থাকছেই।
টা টা।