CANCER- whose potentials are hidden in yourself!!!!
ক্যান্সার।যতটাই পরিচিত একটা রোগ ততটাই মরণঘাতি।আমরা সাধারণভাবে ক্যান্সার কি তা জানি,টিউমার থেকে ক্যান্সার হয় এটাও জানি, এবং সবশেষে কেমোথেরাপি একটি উপায় হতে পারে রোগমুক্তির জন্য এটাও কারো অজানা নয়।কিন্তু যদি আমরা একটু মাইক্রো লেভেলে চিন্তা করি তাহলে কিন্তু ক্যান্সারের কারণ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু হলেও ভিন্ন হবে।
তাহলে শুরু করা যাক, হ্যাঁ অবশ্যই ক্যান্সারের আগের ধাপ টিউমার কিন্তু কনসেপটটা আরও একটু গভীর,আরও একটু আলোচনার দাবী রাখে।
ক্যান্সার সৃষ্টির পিছনে কোষের ভেতরে যে সুপ্ত জিন জেগে উঠা কাজ করে তার নাম "অনকোজিন"(Oncogene)। অনকোজিন সৃষ্টির আগে সুস্থ স্বাভাবিক জিনকে বলা হয় প্রোটো অনকোজিন (Proto-oncogene)। কিছু বায়োকেমিকাল সিগনাল ,ফ্যাক্টর এবং সেল সাইকেলে কোন প্রসেসিং এ ছন্দপতন হলে সুস্থ স্বাভাবিক জিন অনকোজিনে রূপান্তরিত হয়।যেটা আসলে ক্যান্সারের সুপ্ত বীজ।
প্রতিটা সেলে কিছু গ্রোথ রিসেপ্টর (Growth Receptor) থাকে যেখানে লিগ্যান্ড এসে বাইন্ড করে সেলকে সিগন্যাল পাস করে বোঝায় যে তার এখন সেল সাইকেলে প্রবেশ করে অপত্য কোষ তৈরি করার সময় এসে গেছে।
পুরো সেল সাইকেল ভালোভাবে চালানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হচ্ছে CDK-Cycline complex. CDK হলো একটা এনজাইম যার পূর্ণরূপ "cycline dependent kinase"। এটা একটা কাইনেজ এনজাইম এবং কাইনেজ ক্যাটাগরির এনজাইম মূলত ফসফোরাইলেশন বিক্রিয়া মানে একটা ফসফেট গ্রুপ যুক্ত করে । আর সাইক্লিন হলো একটা রেগুলেটরি প্রোটিন যেটি ট্রান্সক্রিপশনের সময় ডিএনএর সাথে বাইন্ড করে ট্রান্সক্রিপশন প্রসেসকে সাহায্য করে।
সেল সাইকেলের প্রতিটা ফেজে যেমন G1,G2,S প্রতিটা ফেজে এই সাইক্লিন-সিডিকে যৌগ প্রতিবার চেক করে সেলকে অনুমতি দেয় পরের ফেজে যাওয়ার জন্য।
সেলের ডিএনএ তে অবস্থিত দুইটা গুরুত্বপূর্ণ জিন হলো রাস জিন আর এমওয়াইসি জিন(RAS and MYC)। রাস জিন থেকে রাস প্রোটিন তৈরি হয়।রাস প্রোটিন কোষের প্লাজমা মেম্ব্রেনের ঠিক নিচে থাকে,এতে ক্রমাগত ফসফেট গ্রুপ যুক্ত হয়ে একটা অন্তঃকোষীয় ফসফোরাইলেশন ক্যাসকেড তৈরি করে। ক্যাসকেড বলতে অনেকটা ফসফেট চেইন বুঝানো হয়।
এই ক্যাসকেড থেকে ফাইনালি আউটপুট হিসেবে কিছু ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর পাওয়া যায় যেগুলা পুনরায় ডিএনএ কে একটিভেট করে গ্রোথ ফ্যাক্টর সাইক্লিন সিডিকে তৈরি করে।
এবং একটু চিন্তা করুন রাস জিনে মিউটেশনের ফলে যে মিউটেট রাস প্রোটিন তৈরি হচ্ছে তার ক্যাসকেড থেকে যে ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর পাওয়া যাচ্ছে সেটা যদি ডিএনএকে ইফেক্ট করে সাইক্লিন সিডিকে এর মতো গ্রোথ ফ্যাক্টরকে বাড়িয়ে দেয় তাহলে এই সাইক্লিন নিয়ন্ত্রিত সেল সাইকেল থেকে কি আউটপুট পাওয়া যাবে? অনেক অনেক সেলের স্তূপ । যার নাম টিউমার। ফলশ্রূতিতে ক্যান্সার।
আরেকটা জিন হলো MYC জিন।এই জিনের ট্রান্সলেশনেও কিছু ফ্যাক্টর পাওয়া যায় যেগুলা সেল গ্রোথ একটিভেটর রূপে কাজ করে। এই জিনে মিউটেশন ঘটলে সেল গ্রোথ ফ্যাক্টর গুলার প্রোডাকশন অস্বাভাবিক রূপে বেড়ে যায়।
RAS and MYC দুই টাইপের জিনেই সাধারণত তিন টাইপের মিউটেশন ঘটতে দেখা যায়-
১) পয়েন্ট মিউটেশন
২) ক্রোমোসোমাল ট্রান্সলোকেশন
৩)জিন এমপ্লিফিকেশন
পয়েন্ট মিউটেশন- ডিএনএর একটা স্ট্রিঙের সিঙ্গেল কোন একটা নিউক্লিটাইড চেঞ্জ হয়ে যাওয়া। যেই নিউক্লিওটাইড আছে রেপ্লিকেশনের সময় ঠিক সেটা না এসে অন্য কোনটা আসলো।
ক্রোমোসোমাল ট্রান্সলোকেশন- জিনের কিছু অংশ সরে ভুল জায়গায় বসে যাওয়া।ক্রোমোসোমের সেগমেন্ট একই ক্রোমোসোমেরই অন্য জায়গায় অথবা ভিন্ন ক্রোমোসোমে চলে যাওয়া।
জিন এমপ্লিফিকেশন- ডিএনএ এর কোন অংশের ডুপ্লিকেট তৈরি হওয়া।এক্ষেত্রে প্রোটো অনকোজিনের ক্রোমোসোমের কিছু এক্সট্রা কপি তৈরি হওয়া।
ক্যান্সার সৃষ্টির পিছনে আরও এক ধরণের জিন দায়ী যাকে বলে Tumor Suppressor Gene. এই জিনের কাজ হলো কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে স্লো করে দেয়া, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো "অ্যাপোপটোসিস" প্রক্রিয়াতে সাহায্য করা।
Apoptosis হলো কোষের মৃত্যু ঘটানোর প্রক্রিয়া।কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে তাকে অপসারণ করার প্রক্রিয়া।
TP53 gene একটি টিউমার সাপ্রেসর জিন যেটি P53 প্রোটিন তৈরি করে। এই প্রোটিন অ্যাপোপটোসিস প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
টিপি৫৩ জিনে মিউটেশন হলে পি৫৩ প্রোটিনের প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে যায়।
মোট কথা, Oncogene একটিভ হলে এবং একই সাথে Tumor Suppressor Gene(TPG) ইনএকটিভ হলে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।
মিউটেশন অনকোজিনকে একটিভ করে আর টিউমার সাপ্রেসর জিনকে ইনএকটিভ করে দেয়।
তাহলে ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকারণ আমাদের দেহের মধ্যেই বিদ্যমান। আমরা প্রতিনিয়ত ক্যান্সারের পটেনশিয়াল বহন করে চলছি। বিভিন্ন বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ ফ্যাক্টর বদলে দিতে পারে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জিনগুলো, যার ফলাফল হতে পারে ক্যান্সার।
সেল সাইকেলের প্রতিটা ফেজে যেমন G1,G2,S প্রতিটা ফেজে এই সাইক্লিন-সিডিকে যৌগ প্রতিবার চেক করে সেলকে অনুমতি দেয় পরের ফেজে যাওয়ার জন্য।
সেলের ডিএনএ তে অবস্থিত দুইটা গুরুত্বপূর্ণ জিন হলো রাস জিন আর এমওয়াইসি জিন(RAS and MYC)। রাস জিন থেকে রাস প্রোটিন তৈরি হয়।রাস প্রোটিন কোষের প্লাজমা মেম্ব্রেনের ঠিক নিচে থাকে,এতে ক্রমাগত ফসফেট গ্রুপ যুক্ত হয়ে একটা অন্তঃকোষীয় ফসফোরাইলেশন ক্যাসকেড তৈরি করে। ক্যাসকেড বলতে অনেকটা ফসফেট চেইন বুঝানো হয়।
এই ক্যাসকেড থেকে ফাইনালি আউটপুট হিসেবে কিছু ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর পাওয়া যায় যেগুলা পুনরায় ডিএনএ কে একটিভেট করে গ্রোথ ফ্যাক্টর সাইক্লিন সিডিকে তৈরি করে।
এবং একটু চিন্তা করুন রাস জিনে মিউটেশনের ফলে যে মিউটেট রাস প্রোটিন তৈরি হচ্ছে তার ক্যাসকেড থেকে যে ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর পাওয়া যাচ্ছে সেটা যদি ডিএনএকে ইফেক্ট করে সাইক্লিন সিডিকে এর মতো গ্রোথ ফ্যাক্টরকে বাড়িয়ে দেয় তাহলে এই সাইক্লিন নিয়ন্ত্রিত সেল সাইকেল থেকে কি আউটপুট পাওয়া যাবে? অনেক অনেক সেলের স্তূপ । যার নাম টিউমার। ফলশ্রূতিতে ক্যান্সার।
আরেকটা জিন হলো MYC জিন।এই জিনের ট্রান্সলেশনেও কিছু ফ্যাক্টর পাওয়া যায় যেগুলা সেল গ্রোথ একটিভেটর রূপে কাজ করে। এই জিনে মিউটেশন ঘটলে সেল গ্রোথ ফ্যাক্টর গুলার প্রোডাকশন অস্বাভাবিক রূপে বেড়ে যায়।
RAS and MYC দুই টাইপের জিনেই সাধারণত তিন টাইপের মিউটেশন ঘটতে দেখা যায়-
১) পয়েন্ট মিউটেশন
২) ক্রোমোসোমাল ট্রান্সলোকেশন
৩)জিন এমপ্লিফিকেশন
পয়েন্ট মিউটেশন- ডিএনএর একটা স্ট্রিঙের সিঙ্গেল কোন একটা নিউক্লিটাইড চেঞ্জ হয়ে যাওয়া। যেই নিউক্লিওটাইড আছে রেপ্লিকেশনের সময় ঠিক সেটা না এসে অন্য কোনটা আসলো।
ক্রোমোসোমাল ট্রান্সলোকেশন- জিনের কিছু অংশ সরে ভুল জায়গায় বসে যাওয়া।ক্রোমোসোমের সেগমেন্ট একই ক্রোমোসোমেরই অন্য জায়গায় অথবা ভিন্ন ক্রোমোসোমে চলে যাওয়া।
জিন এমপ্লিফিকেশন- ডিএনএ এর কোন অংশের ডুপ্লিকেট তৈরি হওয়া।এক্ষেত্রে প্রোটো অনকোজিনের ক্রোমোসোমের কিছু এক্সট্রা কপি তৈরি হওয়া।
ক্যান্সার সৃষ্টির পিছনে আরও এক ধরণের জিন দায়ী যাকে বলে Tumor Suppressor Gene. এই জিনের কাজ হলো কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে স্লো করে দেয়া, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো "অ্যাপোপটোসিস" প্রক্রিয়াতে সাহায্য করা।
Apoptosis হলো কোষের মৃত্যু ঘটানোর প্রক্রিয়া।কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে তাকে অপসারণ করার প্রক্রিয়া।
TP53 gene একটি টিউমার সাপ্রেসর জিন যেটি P53 প্রোটিন তৈরি করে। এই প্রোটিন অ্যাপোপটোসিস প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
টিপি৫৩ জিনে মিউটেশন হলে পি৫৩ প্রোটিনের প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে যায়।
মোট কথা, Oncogene একটিভ হলে এবং একই সাথে Tumor Suppressor Gene(TPG) ইনএকটিভ হলে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।
মিউটেশন অনকোজিনকে একটিভ করে আর টিউমার সাপ্রেসর জিনকে ইনএকটিভ করে দেয়।
তাহলে ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকারণ আমাদের দেহের মধ্যেই বিদ্যমান। আমরা প্রতিনিয়ত ক্যান্সারের পটেনশিয়াল বহন করে চলছি। বিভিন্ন বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ ফ্যাক্টর বদলে দিতে পারে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জিনগুলো, যার ফলাফল হতে পারে ক্যান্সার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন